২৩ শে জানুয়ারি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের জীবনী ২০২১ আবারও একবার আপনাদের সকলকে নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
আজ আমরা ভারতের বীর পুরুষ ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনের সম্পর্কে জানবো কারণ সামনেই ২৩ শে জানুয়ারি ২০২১ নেতাজীর জন্মদিন।
২। অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক
২৩ শে জানুয়ারি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম
নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসু ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরে ১৮৯৩ খ্রীস্টাব্দে ২৩ শে জানুয়ারি জন্মগ্রহন করেন।
তার মাতা প্রভাবতী দেবী এবং পিতা জানকীনাথ বসুর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন নবম সন্তান।
নেতাজীর পিতা ছিলেন ভারতের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী। শরৎচন্দ্র বসু ছিলেন নেতাজীর দাদা।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর শিক্ষা
নেতাজী কটকের স্টুয়ার্ট স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন এটা একটি ইংরেজি স্কুল।এরপর তিনি কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন।
১৯১১ খ্রীস্টাব্দে কলকাতা থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯১৮ খ্রীস্টাব্দে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষায় পাশ করেন।
এরপর সুভাষচন্দ্র কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজউইলিয়াম হলে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর প্রধান উক্তি
শৈশব কাল থেকেই নেতাজি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক। তিনি যেখানেই দেখতেন ইংরেজরা অত্যাচার করছে সেখানেই তার বিরধিতা করতেন।
তার প্রধান উক্তির মধ্যে অন্যতম হল তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দবো হিন্দি Tum mujhe khun do me tumhe ajadi dunga.
তার উক্তির মধ্যে আর একটি হলো জয় হিন্দ Joy Hind পড়ে এটা ভারত সরকার গ্রহণ করেনেন তাই জয় হিন্দ প্রচলন এখনো করা হয়।
২৩ শে জানুয়ারি নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসুর জীবনি
১। আজাদ হিন্দ ফৌজ
নেতাজী শৈশব কাল থেকেই ছিলেন ভারতের একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারত থেকে ইংরেজদের বিতারিত করে ভারতকে স্বধীনতা দেওয়া।
নেতাজী পরপর দুবার ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন কিন্তু গান্ধীজির সাথে মতের মিল না হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেন।
নেতাজী মনে করতেন ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য গান্ধীজির অহিংসার নীতি যথেষ্ট না তাই তিনি ১৯৪৩ খ্রীস্টাব্দে জাপানের সহযোগিতায় আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়েতোলেন।
নেতাজী মনে করতেন ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য গান্ধীজির অহিংসার নীতি যথেষ্ট না তাই তিনি ১৯৪৩ খ্রীস্টাব্দে জাপানের সহযোগিতায় আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়েতোলেন।
এই বাহিনী মূলত গড়ে ওঠে জাপানের হাতে ধরা পড়া ভারতীয় যুদ্ধ বন্দিদের নিয়ে। এরা মালয় অভিজান এবং সিঙ্গাপুরের যুদ্ধে জাপানের হাতে ধরা পড়েছিল।
এছাড়াও মালয় ও ব্রম্ভদেশের (বর্তমান মায়ানমার) ভারতীয় প্রবাসীদের একটা বিরাট অংশ এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
![]() |
ছবি সংগৃহিত Wikipedia |
২। অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক
নেতাজী দুবার ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন কিন্তু গান্ধীজির সাথে তার মতের মিল না হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেন
১৯৩৯ সালে ২৯ এপ্রিল এরপর ১৯৩৯ সালে ৩ রা মে তিনি অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক দলটি গড়ে তোলেন।
৩। নেতাজীর মৃত্যু রহস্য
৩। নেতাজীর মৃত্যু রহস্য
নেতাজীর সঠিক মৃত্যুর বিবরণ আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। একটা মতে নেতাজী সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে বন্দি অবস্থায় সাইবেরিয়ায় মৃত্যু বরণ করেন।
অন্য মতে ১৯৪৫ খ্রীস্টাব্দে ১৮ আগষ্ট জাপানের ফরমোসা দ্বীপে (বর্তমান নাম তাইওয়ান) একটি বিমান দূরঘটনায় তার মৃত্যু হয় এবং জাপানের টোকিও শহরের রেনকোজি মন্দিরে তার অস্থিভস্মের সমাধি রাখা আছে। এটা একটা বৌদ্ধ মন্দির।
Keyword
![]() |
ছবি সংগ্রিহিত flickr.com |
Keyword
- ২৩ শে জানুয়ারি রচনা।
- নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসু জীবন।
- নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসু জন্ম।
- নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচনা।
- সুভাষ চন্দ্র বসু শিক্ষা
- নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস রচনা।
- নেতাজীর প্রধান উক্তি।
- ২৩ শে জানুয়ারি ২০২১
No comments