আকাশ বাঙ্কের একজন সরকারী কর্মচারী ছিল। সে রোজের বাইকে করে অফিসে যেত আর সন্ধায় বারি ফিরে আসতো।শহরের ব্যাস্ততার মধ্যে অনেক কষ্ট হয়েয় থাকে কিন্তু জীবন জানো একরকম হয়ে গেছে। কারোর মধ্যে জানো মনুষ্য বোধ অবধী নেয়,সকলে নিজের মতো চলছে।রাস্তার ধারে এক বুড়ী মা ছোট ঝোড়া হাতে নিয়ে বসে ছিলেন, মনে হয় কিছু বিক্রি করছেন। আকাশ সামনে এগিয়ে দেখে কিছু ফল নিয়ে বসে আছেন। দেখো কেমন সমাজ মানুষ মলে গিয়ে দামি জিনিস কেনে কিন্তু এই বুরি মানুষ টার দিকে কারোর নজরও পরে না।আকাশ তখন বাইক দাঁড় কয়রে বুরীমার কাছে গিয়ে বলে মা ১কিলো শশা দিয়ে দাউ।আকাশ শশা থেকে একটা শশা খেয়ে বলে মা শশা মিস্টী না তুমি একটা খেয়ে দেখ বুরিমা খেয়ে বলে বেশ ভালোতো বাছা।এই বলে রোজের একটা শশা খেয়ে আর একটা বুরিমাকে দিত বলতো মিস্টী না তুমি খেয়ে দেখ আর বাকিটা নেয়ে চলে যেত। অনেক সময় আকাশের স্ত্রী ও তার সাথে থাকতো, সে এটা দেখে অবাক হতো।একদিন তার স্ত্রী বললো ওনার শশাতো বেশ মিস্টী আর ভালো হয় তাহলে তুমি কেন মিস্টী না বলো। আকাশ একটু হেঁসে বলে ওনার সব শশা ভালো কিন্তু উনি নিজে কখনো খায়না আমি বলি তার কারণ উনি জাতে আমার শশা থেকে একটা খান আর ওনার লসও জানো না হয়।এই ভাবে আকাশ রোজের এমন করে পাশের সবজি ওয়ালা একদিন বলে বুরিমা রোজের এই ছেলেটা তোমার শশা খেয়ে খারাপ বলে তবু তুমি ওকে একটা বেশী শশা দাউ কেন? বুরিমা বলে নারে বাপ ও আমার শশা খারাপ বলে না। উল্টে আমায় একটা শশা খায়য়ে যায় আর মনে করে আমি কিছু বুঝীনা। তায় আমিও ওর ভালোবাসা দেখে লুকিয়ে ওর ঝোলায় একটা বেশী শশা দিয়ে দিই।বন্ধুরা কখনো কখনো এমন ছোট ছোট বিষয়েও বেশ মজা আসে মনে। পয়সা দিয়ে এই মজা সব সময় পাওয়া যায় না, ওপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা থাকার প্রয়োজন আছে। আর একটা কথা মানুষ কে দিয়ে যেমন শান্তি আছে নিলে তেমন নেই। একটা কথা মনে রেখ ভালোবাসা দিলে ভালোবাসা পাওয়া যায়। এটা আমার সব থেকে ভালো গল্পের মধ্যে একটা পারলে সবার সাথে ফেসবুকে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
চোখে জল আশার মতো এক সত্য কাহীনি
Reviewed by Santosh Mondal
on
March 29, 2019
Rating:

No comments: